‪#‎মঙ্গল_রচনা_১


তবর্ষ পরে নিদ্রা হইতে জাগিয়া উঠিয়া পিতার
হঠাৎ সোনার মানুষ
দেখার খায়েশ হইল।
তৎউদ্দেশ্যে পিতা হাটিতে লাগিলেন।
হাটিতে হাটিতে দেখিলেন,
দেশে মানুষের কি বিচিত্র সমাহার। এতো মানুষের
মাঝে সোনার মানুষ
খুজিয়া পাওয়া কি সহজ
হইবে?
অতঃপর পিতা অন্যমনষ্ক
হইয়া ঘুরিয়া দাড়াইতেই
বিশাল এক অট্টালিকা মুহূর্তেই ধসিয়া পড়িতে দেখিলেন। আতঙ্কিত মুমূর্ষ মানুষের অর্তচিৎকার
শুনিয়া পিতা চরম বিষন্ন হইয়া পড়িলেন।
পিতা অবাকবিষ্ময়ে লক্ষ্য
করিলেন, সেই বিচিত্র
সদা কর্মব্যাস্ত মানব
জাত বর্ণ ভূলিয়া সকলে উদ্ধারকর্মে লাগিয়া গেল।
পরম মমতায় ধ্বংসস্তুপ
থেকে একে একে বের
করলো হাজারো মানব
সন্তান।এই উদ্ধার পাওয়া মানবসন্তানদের জন্য রসদ জোগাইল সেই কিশোর যার আর্থিক সংগতি তাহার বাবার দেওয়া হাতখরচ, এক বৃদ্ধ যাহাকে প্রায়ই তাহার মেয়ের বিবাহের
খরচের জন্য টাকা তুলিতে দেখা যায়, এক মধ্যবয়স্ক চাকুরীজীবি যে রিকশাভাড়া নেয়ার আগে বেশ কয়েকবার
চিন্তা করিয়া লয়।অতঃপর রক্ত দিতে ভিড় করিতে দেখা গেল হাড্ডি কংকালসার এক মধ্যবয়স্ককে,সিরিঞ্জকে ভয় পাওয়া এক যুবতীকে,
রক্ত দেখিয়া মূর্ছা যায়
এমন এক গৃহীনিকে।
এরপর পিতা আকাশ
বাতাস বিদীর্ণ করিয়া চিৎকার করিয়া কহিলেন,
ওরে তোরাই আমার
সোনার মানুষ.....


লেখক ঃ মঙ্গল দা
মঙ্গল দা
মঙ্গল দা
Latest
First